Login

Ghost

Author:unloginuser Time:2024/08/02 Read: 2820

ভূত (Bhoot)

চরিত্র:

  • অভিজিত (Abhijith): একজন তরুণ, সফল স্থপতি, প্রায় 30 বছর বয়সী
  • রিনা (Rina): অভিজিতের স্ত্রী, 28 বছর বয়সী, একজন ডাক্তার
  • চৌধুরী (Chowdhury): একজন বৃদ্ধ মানুষ, অভিজিতের বাড়িটির পূর্বের মালিক
  • সুব্রত (Subrata): একজন তন্ত্রবিদ, রিনা ও অভিজিতের সাহায্যের জন্য ডাকা হয়
  • ভূত (Bhoot): একজন ছেলে, মনে হয় 10-12 বছর বয়সী, অভিজিতের বাড়িতে প্রেতাত্মা হিসেবে

স্থান:

  • অভিজিতের বাড়ি, একটি পুরনো বিলাসবহুল বাড়ি, কোলকাতার ঠিক বাইরে
  • সুব্রতের অফিস, একটা ছোট্ট রুম, পুরনো কলকাতার একটা ভয়ঙ্কর গলি

দৃশ্য 1:

অভিজিত ও রিনা তাদের নতুন বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িটি সুন্দর, কিন্তু বেশ পুরনো।

রিনা: (বাড়িটি দেখে) কি সুন্দর, অভি! আমরা এখানে সুখে থাকবো।

অভিজিত: (মুচকি মুচকি হাসে) হ্যাঁ, রিনা। এই বাড়ি তো আমার স্বপ্নপূরণ।

চৌধুরী বাড়িতে আসেন, তার চোখে একটা অদ্ভুত ভয়ের আভা।

চৌধুরী: (কণ্ঠে ভয়ের সুর) এই বাড়ি… এই বাড়িটা বেশ পুরনো…

অভিজিত: (হেসে) হ্যাঁ, আমরা জানি।

চৌধুরী: (আঙুল উঁচু করে) এই বাড়ি… এই বাড়ি…

অভিজিত: (বেশি মনোযোগ দেওয়া না) চৌধুরী, আপনি কি বলতে চাইছেন?

চৌধুরী: (একটা মনে থাকা ভূতের কাহিনী শুরু করে) এখানে… এখানে একটা… একটা ছেলে…

রিনা: (চৌধুরীকে থামায়) চৌধুরী, আপনি কী বলছেন?

চৌধুরী: (ভয় পাওয়া) এই বাড়িতে… এই বাড়িতে ছেলের… ছেলের…

চৌধুরী চলে যান, অভিজিত ও রিনা কিছুটা অস্বস্তিতে থাকে।

দৃশ্য 2:

রাত। অভিজিত ঘুমোতে যাচ্ছেন, রিনা বই পড়ছে। হঠাৎ একটা খেলনার গাড়ি ঘরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে।

রিনা: (ভয় পেয়ে) অভি? তুমি কি এই গাড়িটি দেখছো?

অভিজিত: (ঘুম থেকে জেগে) গাড়ি? কোথায়?

রিনা: (গাড়িটির দিকে ইঙ্গিত করে) সেখানে!

গাড়িটি নিজে নিজেই ঘরের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়।

অভিজিত: (ভয় পাওয়া) রিনা… এটা…

রিনা: (কান কাছে লাগিয়ে) অভি, আমার মনে হচ্ছে… আমার মনে হচ্ছে আমরা একা নই…

দৃশ্য 3:

অভিজিত ও রিনা তন্ত্রবিদ সুব্রতের সাথে দেখা করেন।

সুব্রত: (রিনা ও অভিজিতের কথা শুনে) আপনারা পুরনো জিনিসের কাছাকাছি থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।

অভিজিত: (হতাশ হয়ে) কিন্তু কীভাবে এসব বন্ধ করা যায়?

সুব্রত: (একটা বিশেষ মন্ত্র পড়ে) এটা একটা ভূত… একটা অসমাপ্ত আত্মা…

রিনা: (ভয় পেয়ে) তুমি… তুমি এই ভূতটিকে…

সুব্রত: (হেসে) ভয় পাবেন না। আমি সাহায্য করবো।

দৃশ্য 4:

রাত। অভিজিতের বাড়ি। সুব্রত বিশেষ মন্ত্র পড়ে, আশেপাশে জ্যোৎস্না জ্বালায়। হঠাৎ, ভূতটি অভিজিতের সামনে প্রকাশ পায়।

ভূত: (কণ্ঠে দুঃখের সুর) আমাকে… আমাকে যান… আমাকে বাইরে…

সুব্রত: (মন্ত্র পড়তে থাকে) ছেলে… ছেলে…

ভূতটি কান্না করে, তারপর ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়।

সুব্রত: (অভিজিত ও রিনা দিকে তাকিয়ে) এখন তুমি নিরাপদ।

অভিজিত ও রিনা সুব্রতকে ধন্যবাদ জানায়।

দৃশ্য 5:

দিন। অভিজিতের বাড়ি। সবকিছু আগের মতো শান্ত। অভিজিত ও রিনা সুখে থাকে।

রিনা: (অভিজিতের হাত ধরে) অভি, আমরা এখানে সুখে থাকবো।

অভিজিত: (রিনার হাত চেপে ধরে) হ্যাঁ, রিনা। আমরা এখন একা নই।

শেষ।