Ghost
Ghost
ভূত (Bhoot)
চরিত্র:
- অভিজিত (Abhijith): একজন তরুণ, সফল স্থপতি, প্রায় 30 বছর বয়সী
- রিনা (Rina): অভিজিতের স্ত্রী, 28 বছর বয়সী, একজন ডাক্তার
- চৌধুরী (Chowdhury): একজন বৃদ্ধ মানুষ, অভিজিতের বাড়িটির পূর্বের মালিক
- সুব্রত (Subrata): একজন তন্ত্রবিদ, রিনা ও অভিজিতের সাহায্যের জন্য ডাকা হয়
- ভূত (Bhoot): একজন ছেলে, মনে হয় 10-12 বছর বয়সী, অভিজিতের বাড়িতে প্রেতাত্মা হিসেবে
স্থান:
- অভিজিতের বাড়ি, একটি পুরনো বিলাসবহুল বাড়ি, কোলকাতার ঠিক বাইরে
- সুব্রতের অফিস, একটা ছোট্ট রুম, পুরনো কলকাতার একটা ভয়ঙ্কর গলি
দৃশ্য 1:
অভিজিত ও রিনা তাদের নতুন বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িটি সুন্দর, কিন্তু বেশ পুরনো।
রিনা: (বাড়িটি দেখে) কি সুন্দর, অভি! আমরা এখানে সুখে থাকবো।
অভিজিত: (মুচকি মুচকি হাসে) হ্যাঁ, রিনা। এই বাড়ি তো আমার স্বপ্নপূরণ।
চৌধুরী বাড়িতে আসেন, তার চোখে একটা অদ্ভুত ভয়ের আভা।
চৌধুরী: (কণ্ঠে ভয়ের সুর) এই বাড়ি… এই বাড়িটা বেশ পুরনো…
অভিজিত: (হেসে) হ্যাঁ, আমরা জানি।
চৌধুরী: (আঙুল উঁচু করে) এই বাড়ি… এই বাড়ি…
অভিজিত: (বেশি মনোযোগ দেওয়া না) চৌধুরী, আপনি কি বলতে চাইছেন?
চৌধুরী: (একটা মনে থাকা ভূতের কাহিনী শুরু করে) এখানে… এখানে একটা… একটা ছেলে…
রিনা: (চৌধুরীকে থামায়) চৌধুরী, আপনি কী বলছেন?
চৌধুরী: (ভয় পাওয়া) এই বাড়িতে… এই বাড়িতে ছেলের… ছেলের…
চৌধুরী চলে যান, অভিজিত ও রিনা কিছুটা অস্বস্তিতে থাকে।
দৃশ্য 2:
রাত। অভিজিত ঘুমোতে যাচ্ছেন, রিনা বই পড়ছে। হঠাৎ একটা খেলনার গাড়ি ঘরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে।
রিনা: (ভয় পেয়ে) অভি? তুমি কি এই গাড়িটি দেখছো?
অভিজিত: (ঘুম থেকে জেগে) গাড়ি? কোথায়?
রিনা: (গাড়িটির দিকে ইঙ্গিত করে) সেখানে!
গাড়িটি নিজে নিজেই ঘরের দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়।
অভিজিত: (ভয় পাওয়া) রিনা… এটা…
রিনা: (কান কাছে লাগিয়ে) অভি, আমার মনে হচ্ছে… আমার মনে হচ্ছে আমরা একা নই…
দৃশ্য 3:
অভিজিত ও রিনা তন্ত্রবিদ সুব্রতের সাথে দেখা করেন।
সুব্রত: (রিনা ও অভিজিতের কথা শুনে) আপনারা পুরনো জিনিসের কাছাকাছি থাকলে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
অভিজিত: (হতাশ হয়ে) কিন্তু কীভাবে এসব বন্ধ করা যায়?
সুব্রত: (একটা বিশেষ মন্ত্র পড়ে) এটা একটা ভূত… একটা অসমাপ্ত আত্মা…
রিনা: (ভয় পেয়ে) তুমি… তুমি এই ভূতটিকে…
সুব্রত: (হেসে) ভয় পাবেন না। আমি সাহায্য করবো।
দৃশ্য 4:
রাত। অভিজিতের বাড়ি। সুব্রত বিশেষ মন্ত্র পড়ে, আশেপাশে জ্যোৎস্না জ্বালায়। হঠাৎ, ভূতটি অভিজিতের সামনে প্রকাশ পায়।
ভূত: (কণ্ঠে দুঃখের সুর) আমাকে… আমাকে যান… আমাকে বাইরে…
সুব্রত: (মন্ত্র পড়তে থাকে) ছেলে… ছেলে…
ভূতটি কান্না করে, তারপর ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যায়।
সুব্রত: (অভিজিত ও রিনা দিকে তাকিয়ে) এখন তুমি নিরাপদ।
অভিজিত ও রিনা সুব্রতকে ধন্যবাদ জানায়।
দৃশ্য 5:
দিন। অভিজিতের বাড়ি। সবকিছু আগের মতো শান্ত। অভিজিত ও রিনা সুখে থাকে।
রিনা: (অভিজিতের হাত ধরে) অভি, আমরা এখানে সুখে থাকবো।
অভিজিত: (রিনার হাত চেপে ধরে) হ্যাঁ, রিনা। আমরা এখন একা নই।
শেষ।